সিজারের সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষ বা পরিবার আজকাল খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সিজার হলো বা সিজারিয়ান ডেলিভারি গর্ভবতী মায়ের উওদর বা পেট অপারেশন করে সন্তান জন্মদানের প্রক্রিয়া। প্রাকৃতিক ভাবে সন্তান ভূমিষ্ট না হলে বা কোন জটিল পরিবেশ সৃষ্টি হলে মানুষ সিজারের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। নরমাল ডেলিভারি গর্ভবতী নারীর জন্য স্বাস্থ্য সম্মত হলেও অনেক সময় ভিন্ন পরিস্থিতির কারণে সিজারিয়ান ডেলিভারি করাতে হয়।
কখন সিজারিয়ান অপারেশন করাতে হয়?
সিজারিয়ান বিভাগের মাধ্যমে প্রসব একটি নিরাপদ এবং আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যা জটিলতার ক্ষেত্রে মা ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়। যোনিপথে প্রসব সম্ভব না হলে, প্রশিক্ষিত প্রসূতি বিশেষজ্ঞ মায়ের পেট ও জরায়ু কেটে সিজারিয়ান অপারেশন পরিচালনা করেন। এটি সাধারণত একজন চেতনানাশক বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞ নার্সিং কর্মী এবং অপারেশন থিয়েটার টিমের সহায়তায় করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, মেরুদণ্ডের অ্যানেশেসিয়া ব্যবহৃত হয়, যাতে রোগী সম্পূর্ণ জাগ্রত থাকলেও শরীরের নীচের অংশ অসাড় থাকে।
অপারেশনের সময় একটি নিওনাটোলজিস্ট উপস্থিত থাকেন, যিনি নবজাতকের স্বাস্থ্য যাচাই ও প্রাথমিক যত্ন নিশ্চিত করেন। সিজারিয়ান প্রসবের ফলে মা ও শিশু উভয়ের জীবন ঝুঁকি থেকে রক্ষা পায় এবং এটি বর্তমান সময়ে একটি সাধারণ এবং কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতিতে পরিণত হয়েছে।
১. মায়ের শারীরিক সমস্যা বা জটিলতা
- উচ্চ রক্তচাপ (প্রি-এক্লাম্পসিয়া): মায়ের উচ্চ রক্তচাপ এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সমস্যা হলে সিজার করা হয়।
- ডায়াবেটিস: জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসের কারণে শিশুর ওজন বেশি হলে সিজার দরকার হতে পারে।
- গর্ভফুলের সমস্যা: প্লাসেন্টা প্রিভিয়া (প্লাসেন্টা জরায়ুর নিচের দিকে থাকা) থাকলে যোনিপথে প্রসব ঝুঁকিপূর্ণ।
- মায়ের রোগ বা অস্ত্রোপচার ইতিহাস: যেমন জরায়ুতে পূর্বের অস্ত্রোপচার।
২. শিশুর অবস্থান এবং স্বাস্থ্য
- ব্রীচ পজিশন: শিশুর মাথার বদলে পা বা নিতম্ব নিচের দিকে থাকলে।
- ট্রান্সভার্স লে (আড়াআড়ি অবস্থান): শিশু যোনিপথ দিয়ে নামতে না পারলে।
- ফিটাল ডিস্ট্রেস: শিশুর হার্টবিট অস্বাভাবিক হলে।
- টুইন বা মাল্টিপল প্রেগন্যান্সি: একাধিক সন্তানের জন্মের ক্ষেত্রে।
- শিশুর সাইজ বড় হলে: মায়ের পেলভিস থেকে শিশুর মাথা বড় হলে।
৩. প্রসবকালীন জটিলতা
- প্রলংড লেবার: দীর্ঘ সময় প্রসবের প্রক্রিয়া চললেও যোনিপথে প্রসব না হলে।
- কর্ড প্রোল্যাপস: নাভির কর্ড আগে বেরিয়ে এলে শিশুর অক্সিজেন সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়।
- অম্নিওটিক ফ্লুইড কমে যাওয়া: শিশুর জন্য পর্যাপ্ত ফ্লুইড না থাকলে।
৪. মায়ের পছন্দ বা পরিস্থিতিগত কারণ
- কিছু মায়েরা সিজারিয়ান প্রসবকে স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় বেশি নিরাপদ মনে করে থাকেন এবং এটি পরিকল্পিতভাবে করা হয়।
৫. জরুরি অবস্থা
- প্রসবকালীন যে কোনো আকস্মিক বিপদজনক পরিস্থিতি (উদাহরণস্বরূপ, জরায়ু ছিঁড়ে যাওয়া) সৃষ্টি হলে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা হাসপাতালে সিজারিয়ান ডেলিভারি
সিজারিয়ান ডেলিভারি একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার হওয়ায় এটি এমন হাসপাতালে করা উচিত যেখানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, দক্ষতা, এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা হাসপাতালে সিজারিয়ান ডেলিভারি (সি-সেকশন) নিরাপদ এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এখানে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার সুবিধাসহ প্রশিক্ষিত নার্স এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সেবা প্রদান করেন।
হাসপাতালের সেবার বৈশিষ্ট্য:
- অভিজ্ঞ ডাক্তারদের তত্ত্বাবধান: গাইনী ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং সহায়ক কর্মীরা সিজারিয়ান ডেলিভারি সম্পন্ন করেন।
- প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম: আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং অ্যানেস্থেসিয়া সুবিধা রয়েছে, যা মায়েদের ও নবজাতকের সুরক্ষিত প্রসব নিশ্চিত করে।
- ডায়াগনস্টিক সেবা: মহানন্দা ক্লিনিকে উন্নত ডায়াগনস্টিক সুবিধা রয়েছে, যেমন ডিজিটাল এক্স-রে এবং অন্যান্য টেস্টিং সুবিধা।
- পরবর্তী যত্ন: সিজারিয়ান ডেলিভারির পর মা ও শিশুর যত্নের জন্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
অবস্থান ও যোগাযোগ
হেনা কমপ্লেক্স, শান্তি মোড়, চাঁপাই নবাবগঞ্জ
মোবাইলঃ ০১৭৩০-২৪০৪০০, ০১৩২১-৫৫২৬৭০
ইমেইলঃ mahanandaspecializedhospital@gmail.com
আপনি যদি মহানন্দা হাসপাতালে সিজারিয়ান ডেলিভারি করানোর পরিকল্পনা করেন, তবে বিস্তারিত জানার জন্য সরাসরি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে পারেন এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। সঠিক চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য এই ধরনের হাসপাতালে ডেলিভারি করানো নিরাপদ এবং সুবিধাজনক।
সিরিয়ালের জন্য এখনই কল করুন: 01317-823580
মহানন্দা স্পেশালাইজড হসপিটাল – আপনার আস্থার ঠিকানা।