Gallbladder বা পিত্তথলি হলো একটি নাশপাতি আকারের ফাঁপা অঙ্গ যা যকৃতের ডান দিকে নীচের দিকে পেটের আবরণ পর্দার সাথে তীর্যক ভাবে অবস্থান করে।
যকৃত হতে নিঃসৃত পিত্তরস (Bile) নামক তরল পিত্তথলিতে ঘনীভূত ও সঞ্চিত থাকে। যা ফ্যাট বা চর্বিযুক্ত খাবারকে হজম করতে সহায়তা করে। কোন কারণে পিত্তরস জমে শক্ত নুড়ি সদৃশ পাথর তৈরি হতে পারে, যাকে বলা হয় পিত্তথলির পাথর না গলস্টোন।
বর্তমান সময়ে পিত্ত থলির পাথর বা গলব্লাডার স্টোন একটি অতি পরিচিত সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষের চেয়ে নারীরা এই সমস্যায় তুলনামূলক বেশি ভুগেন। সাধারণত ৩০ বছর বয়সে এর ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে সকল বয়সেই এই সমস্যা হতে পারে।
পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার কারণ
পিত্তথলিতে অনেক কারণে পাথর হয়ে থাকে। তবে পিত্তরস কোন কারণে জমাট বেঁধে গেলে পাথর হওয়ার আশংকা বেশি থাকে। ডাক্তারের ভাষায় বলা যায়, যখন রক্তে কোলেস্টরল বাড়লে বা বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে পিত্তরস ক্ষরণে বাঁধা পায়, ফলে তা জমাট হয়ে শক্ত নুড়ি বা পাথরে রুপ নেয়।
যেসব কারণে পিত্ত থলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা হলো নিম্নরুপঃ
- জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা পিল সেবন
- টানা অনেক সময় খাবার না খাওয়া
- গর্ভাবস্থা
- পর্যাপ্ত পানি পান না করা
- শরীরে অনেক কোলেস্টরল হলে
- শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি হলে
- অতিরিক্ত ওজন
- ডায়াবেটিস
- লিভারের রোগ
- দ্রুত ওজন হ্রাস
- বংশগত
কিভাবে বুঝবেন পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে?
পিত্তথলিতে বা গলব্লাডারে পাথর হলে ব্যথা একটি সাধারন উপসর্গ। অধিকাংশ সময় ডান দিকে নিচের অংশে বা পেটের ওপরের অংশে মনে হয় যেন চাপ দিয়ে কিছু একটা ধরে আছে।
এই সমস্যার আরো কিছু উপসর্গ নিম্ন রুপ
- মাঝে মাঝে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে এবং পেট ব্যথা
- ব্যথা কয়েক মিনিট থেকে কয়েকটা ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়
- ব্যথা মাঝে মাঝে পেটের ডান দিক থেকে শুরু করে ডান কাঁধ পর্যন্ত পৌছায়
- মশলাদার খাবারে পেটে ব্যথা শুরু হয় এবং সাথে বমি ও হতে পারে
- প্রস্রাবের রঙ খয়েরি হয়ে যায়
- জন্ডিসের লক্ষণগুলো প্রকট হয়
কখন চিকিৎসকের নিকট যাওয়া জরুরি
পিত্তথলিতে পাথর হলে অনেক সময় উপসর্গ গুলো না ও দেখা দিতে পারে। তবে উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক সময় পাথর হলে তার উপযুক্ত সময় সঠিক চিকিৎসা না হলে পিত্তনালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে যা অনেক জটিল অবস্থা তৈরি করে। পিত্তথলির স্থায়ী সমাধান হলো অপারেশন।
যে যে উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি
- যদি ঠান্ডা লাগা ও প্রচন্ড জ্বর হয়, সাথে কাঁপুনি
- পেটে তীব্র ব্যথা, যখন স্থির হয়ে বসা সম্ভব না
- বমি বমি ভাব, প্রচুর বদহজম ও দীর্ঘমেয়াদী বমির সমস্যা
- ত্বক ও চোখ সাদা বর্ণ ধারণ
পিত্তথলি পাথর ডাক্তার রাজশাহী
পিত্তথলির স্থায়ী চিকিৎসা হচ্ছে অপারেশন করা ফেলা। বিশেষজ্ঞর ডাক্তারেরা পিত্তথলির পাথরের আকার, অবস্থান চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী সেবা প্রদান করেন এবং রোগীর বয়স এবং জটিলতা বিবেচনায় অপারেশন করে থাকেন।
রাজশাহীতে পিত্তথলির পাথর (গলব্লাডার স্টোন) এর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তারের তালিকা দেওয়া হলোঃ
১) ডাঃ মোঃ রোকনুজ্জামান
এমবিবিএস এমএস (সার্জারী)
জেনারেল, ল্যাপারোস্কপিক, কলোরেক্টাল ব্রেস্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
সহকারী অধ্যাপক (সার্জারী)
বিএমসি হাসপাতাল রাজশাহী
২) ডাঃ সুব্রত কুমার দাস
এমবিবিএস, বিসিএস, এফসিপিএস (সার্জারী)
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী
বিএমডিসি রেজি. নং-এ-৪৩৩৭৯
৩) ডাঃ মোঃ সোহেল আকতার
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (সার্জারী), এমসিপিএস (সার্জারী)
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
৪) ডা: ফারহান ইমতিয়াজ চৌধুরী
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এফসিপিএস (সার্জারি)
এফআইএজিইএস(ইন্ডিয়া)
ল্যাপরোস্কোপিক, পাইলস, হার্ণিয়া ও স্তন বিশেষজ্ঞ সার্জন
সহকারী অধ্যাপক (ক্যাজু সার্জারি)
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ল্যাপরোস্কোপিক সার্জারীতে উচ্চতর প্রশিক্ষন প্রাপ্ত (ইন্ডিয়া)
৫) ডাঃ এস. আই. রবিন
এমবিবিএস, বিসিএস, এফসিপিএস (সার্জারি)
এডভ্যান্স ল্যাপারোস্কোপি ও লেজার সার্জন
কনসালটেন্ট
ওয়েসিস সার্জিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার
রাজিব চত্বর, কলাবাগান, রাজশাহী
৬) ডা: মো: সফি উল্লাহ
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস(সার্জারী)
ফেলো মিনিমাল এক্সেস সার্জন অফ ইন্ডিয়া
জেনারেল ও ল্যাপারস্কপিক সার্জন
সহকারী অধ্যাপক (সার্জারী)
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী
৭) ডাঃ তামান্না তাসনীম
এমবিবিএস, এমএস(কলোরেক্টাল সার্জারী)
মহিলাদের জন্য বিশেষজ্ঞ সার্জন
বৃহদান্ত্র ও পায়ুপথ রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
৮) ডাঃ সৈয়দা মোমেনা হোসাইন (নিশি)
এম.বি.বি.এস, এফ.সি.পি.এস (সার্জারী)
জেনারেল সার্জন
কনসালটেন্ট সার্জারী বিভাগ,
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
৯) অধ্যাপক ডা: মো: বাহারুল ইসলাম
এম.বি.বি.এস, এফ.সি.পি.এস (সার্জারী)
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (সার্জারী বিভাগ)
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
১০) ডা: মো: আবু বকর সিদ্দিক
এমবিবিএস, এফসিপিএস(সার্জারী)
ল্যাপারস্কপিক ও জেনারেল সার্জন
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
সার্জারী বিভাগ
ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান(অব)
সার্জারী বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
রাজশাহীর যেকোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তথ্য, সিরিয়াল ও আমাদের সেবা পেতে যোগাযোগ করুন।: 01317823580