কার্ডিওলজি বা হৃদরোগ বিশেষ
হৃদরোগ বা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ একটি মারাত্নক রোগ যা বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। বাংলাদেশেও এই সমস্যা ভয়াবহ। একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে বাংলাদেশে প্রতি বছর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৪% মানুষের মৃত্যু হয় ।
হৃদপিন্ডের রক্তনালীতে চর্বির ফলে শরীরের রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়, যার ফলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয় যা হৃদরোগ নামে বিশেষজ্ঞরা সজ্ঞায়িত করেন।
হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হার্ট এটাকের মতো মারাত্নক ঝুকিতে থাকেন। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে একজন কার্ডিওলজি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত। এতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব। হৃৎপিন্ডের রক্তনালীতে রক্ত চলাচল পুনঃপ্রতিষ্ঠাই হলো এর প্রধান চিকিৎসা।
হৃদরোগের বিভিন্ন প্রকারভেদঃ
- করোনারি হৃদরোগঃ এই রোগে হৃদপিন্ডের রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলোতে চর্বি জমা হয়, যা হার্ট এটাকের অন্যতম কারন।
- অ্যাথরোস্ক্লেরোসিসঃ এর কারণে ধমনীর দেয়ালে চর্বি, কোলেস্টরল ও অন্যান্য পদার্থ জমা হয়, যার কারণে স্ট্রোক, হার্ট এটাক ও অন্যান্য জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়।
- হার্ট ফেউলিওরঃ এর কারনে হৃদপিন্ড রক্ত পাম্প করতে অসমর্থ হয়। যার কারণে শ্বাস কষ্ট, ফোলাভাব সহ অন্যান্য জটিল লক্ষণ দেখা যায়।
এছাড়া রক্তনালীর সংক্রমণ, ঝিল্লির সমস্যা, হৃদপিন্ডের বিভিন্ন ত্রুটি সেটি হতে পারে জন্মগত ইত্যাদি প্রকার হৃদরোগ রয়েছে।
হৃদরোগে কারা আক্রান্ত হতে পারেন
অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন হৃদ রোগের ঝুকি সবচেয়ে বেশি বাড়ায়। যেমন সিগারেট, তামাক, জর্দা, এলকোহল সেবন করলে এর ঝুকি বাড়ে। আবার যাদের উচ্চমাত্রায় কোলেস্টরল ও ডায়বেটিস রয়েছে তাদেরও বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগের ঝুকি থাকে। তারপর যাদের বয়স ৫৫ বছর বা তার অধিক; তাদের ঝুকি বেশি। আবার জন্মগত কারণেও হৃদরোগ হতে পারে।
এর ঝুকি নারীদের চেয়ে পুরুষের বেশি হলেও ডায়বেটিসে আক্রান্ত একজন নারীর ঝুকির সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তাছাড়া শারীরিক কসরত কম, ওজন বেশি হলেও এর ঝুকি বাড়ে।
হৃদরোগের লক্ষণ
হৃদরোগ বা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এর লক্ষণ গুলো সমস্যার তীব্রতার সাথে পরিবর্তিত হয়। এর মধ্যে কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যা জেনে নেওয়া ভালো। যেমন–
- বুকে ব্যথাঃ হৃদরোগের প্রাথমিক এবং সাধারণ লক্ষণ এটা। মাঝে মাঝে বুকের মাঝখানে তীব্র ব্যথা শুরু হয়, পরে এটি বাম দিকে কাঁধ, ঘাড়, চোয়াল বা পিঠের দিকে ছড়িয়ে যায়।
- অজ্ঞানঃ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। এটি হৃদরোগের সব চেয়ে গুরুতর সমস্যা।
- ক্লান্তিঃ দুর্বলতা, অবসাদ, ক্লান্তি এই রোগের সাধারণ লক্ষণ। সাধারনত শুয়ে বসে থাকলে অবসাদ অনুভূত হয় না, কিন্তু সামান্য পরিশ্রমে নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বুক ধড়ফড়, অস্বস্তি বুকে চাপ অনুভুত হয়। কোন কোন সময় বুক সহ বাম হাত, ঘাড় , চোয়াল বুকের পিছনে ব্যথা অনুভুত হয়।
- মাথা ঘোরা ও বমি ভাবঃ মাথা ঘোরা ও সাথে বমি বমি ভাব হয়। এটি হৃদরোগের সাধারণ লক্ষণের একটি।
- শ্বাস কষ্টঃ শারীরিক পরিশ্রম বা উত্তেজনার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস কষ্ট হয়। এটাও একটা সাধারণ লক্ষণ।
এছাড়া পায়ে ফলাভাব, ঘন ঘন প্রস্রাব, অনিয়মিত হার্টবিট, ত্বকের রঙ পরিবর্তন ইত্যাদি হৃদরোগের লক্ষণ।
যদি এই ধরনের লক্ষণ কারো মধ্যে দেখা দেয় তাহলে যথা শীঘ্র একজন কার্ডিওলজি ডাক্তার এর শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
রাজশাহীতে স্বনামধন্য এবং অভিজ্ঞ কার্ডিওলজি ডাক্তারঃ
১. ডাঃ এস.এম সানজিদুল ইসলাম সিদ্দিকী (সবুজ)
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য),এমসিপিএস (মেডিসিন),
এফসিপিএস(মেডিসিন),
ডি-কার্ড(বিএসএমএমইউ)
মেডিসিন এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,রাজশাহী।
এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(কার্ডিওলজী)
WHO ফেলো ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি মালয়েশিয়া, মাদ্রাজ, কোচিন-ভারত
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, হৃদরোগ বিভাগ
রাজশাহী, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
এমবিবিএস, এমসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(হৃদরোগ)
হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক
হৃদরোগ বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
এম.বি.বি.এস, এম.সি.পি.এস (মেডিসিন), ডি-কার্ড, এম.ডি(কার্ড)
সহকারী অধ্যাপক, হৃদরোগ বিভাগ
ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
সহযোগী অধ্যাপক(অবঃ)
কার্ডিওলজী
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী
এমবিবিএস, এমএস(মেডিসিন), পিএইচডি(কার্ড)
হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
৬. ডা: মোল্লা মো: ইফতেখার হোসেন
এমবিবিএস, ( ডিএমসি ), এমডি ( কার্ডিওলজী)
ট্রেইন্ড ইন ইন্টার ভেনশনাল কার্ডিওলজী ( কে আই এম এস হসপিটাল, হাইদ্রাবাদ, ইন্ডিয়া )
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক ( কার্ডিওলজী বিভাগ )
মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রাজশাহী।
এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(কার্ডিওলজি)
সহযোগী অধ্যাপক
কার্ডিওলজি বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি(কার্ডিলজী,বিএসএমএমইউ), এমএসিপি(আমেরিকা)
হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ (হাইপারটেনশন) বাতজ্বর, হার্ট ভাল্ব, অতিরিক্ত স্থলতাও চর্বিজনিত রোগ এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট, হৃদরোগ বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
৯. ডাঃ এ.এস.এম. সায়েম
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডি-কার্ড (এনআইসিভিডি), এমএসিপি (আমেরিকা)।
ক্লিনিক্যাল এবং ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট।
চাইল্ড ইকোকার্ডিওগ্রাফিতে উন্নত প্রশিক্ষণ।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
এমবিবিএস বিসিএ (স্বাস্থ্য)এমডি(কার্ডিওলজী) সিসিডি (বারডেম)
মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
১১. ডাঃ কাজী মোঃ আব্দুল আওয়াল
এমবিবিএস, ডি-কার্ড এমএসিপি (ইউএসএ) সিসিডি (বারডেম)
এ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর কার্ডিওলজি বিভাগ
ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী
হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য),ডি-কার্ড(কার্ডিওলজী)
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট কার্ডিওলজী
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল রাজশাহী।