বন্ধ্যাত্ব কী এবং কেন হয় ?
বন্ধ্যাত্ব একটি জটিল সমস্যা যা নিঃসন্তান দম্পতিদের জীবনে অভিশাপ স্বরুপ। আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে সন্তান লাভ করাকে জীবনের স্বার্থকতা হিসেবে ধরা হয়। এই সমস্যা দম্পতিদের মনে হতাশা এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। প্রজনন সমস্যার কারণে কোন ব্যক্তি যদি গর্ভধারণ করতে না পারে বা সন্তান জন্ম দিতে না পারে সে ব্যক্তির সেই সমস্যা কে বন্ধ্যাত্ব বলে।
বন্ধাত্বের জন্য আমাদের সমাজে শুধু নারীদের কে দায়ী করা হলেও নারী পুরুষ উভয়ের এই সমস্যা থাকতে পারে। একজন বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ এর মতে তাঁর কাছে আসা দম্পতিদের মধ্যে সন্তান ধারণে অক্ষমতায় নারী-পুরুষের অনুপাত একই রকমের। আজকাল বন্ধাত্বের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বন্ধ্যাত্বের যদিও সঠিক হিসেব নেই, অনুমান করা যায় সারা বিশ্বে ৪৮ মিলিয়ন দম্পতি বন্ধ্যা এবং ১৮৬ মিলিয়ন ব্যক্তির জীবন সঙ্গী বন্ধ্যা।
একজন ব্যক্তির বন্ধ্যাত্বের অনেক কারণ থাকতে পারে। নারী-পুরুষ উভয়ের ই এই সমস্যা সমান ভাবে প্রভাবিত করে।
বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা WHO এর মতে , টানা ১২ মাস সন্তান ধারণের চেষ্টা করে কেউ যদি ব্যর্থ হন তবে তাকে ইনফার্টাইল বা সন্তান ধারণে অক্ষম তথা বন্ধ্যা বলা হয়।
একজন নারী যেসব কারণে বন্ধ্যা হতে পারেন তার সম্ভাব্য কারণ গুলো হলো –
- হরমোনঃ থাইরয়েড, প্রোল্যাকটিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে।
- জন্মগত সমস্যাঃ জন্মগত কারণে হতে পারে, যেমন ডিম না আসা, জরায়ু বাচ্চাদের মতো, টিউব ব্লক ইত্যাদি কারণে হতে পারে।
- জরায়ু সমস্যাঃ জরায়ুর সমস্যা হতে পারে, যেমন জরায়ুর অসম্পূর্ণ বিকাশ, জরায়ুর ফাইব্রয়েড, জরায়ু ক্যান্সার।
- গর্ভনালী অস্বাভাবিকতাঃ গর্ভনালীর সমস্যার কারণে হতে পারে। গর্ভনালী হল একটি নল যা জরায়ুকে যোনিপথের সাথে সংযুক্ত করে। গর্ভনালীর অস্বাভাবিকতাগুলির মধ্যে রয়েছে: গর্ভনালীর সংক্রমণ, গর্ভনালীর টিউমার, গর্ভনালীতে আঘাত ইত্যাদি।
- ডিম্বোস্ফোটন সমস্যাঃ ডিম্বোস্ফোটন বা ডিম্বাণুর নিঃসরণ না হওয়ার কারণে হতে পারে। ডিম্বোস্ফোটন না হলে গর্ভধারণ সম্ভব নয়।
- যৌন বাহিত রোগঃবিভিন্ন যৌন বাহিত রোগের কারণে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।
একজন পুরুষ যেসব কারণে বন্ধ্যা হতে পারেন তার সম্ভাব্য কারণ গুলো হলো –
- শুক্রাণুঃ স্পার্ম বা শুক্রাণু উৎপাদন সমস্যার কারণে হতে পারে। বীর্যে শুক্রাণু না থাকা, অনেক সময় শুক্রাণু থাকলেও পরিমাণে কম বা নালির কোথাও বাধা সৃষ্টি হয়ে শুক্রাণু না পৌছানো , শুক্রাণু তৈরি হওয়ার স্থান অন্ডকোষ কোন কারণে তৈরি না হওয়া। আবার শুক্রাণুর পরিমাণ ঠিক হলেও মান ঠিক না থাকলে সেটা ডিম ফার্টিলাইজ করতে পারে না যার কারণে একজন পুরুষ বন্ধ্যাত্বের শিকার হোন।
- হরমোনঃ টেস্টোস্টেরন, থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে।
- প্রজনন অঙ্গঃ প্রজনন অঙ্গে কোন ধরণের আঘাত, সংক্রমণ, অস্ত্রোপাচারের কারণে আঘাত, বিভিন্ন যৌন রোগের কারণে হতে পারে।
- অন্যান্যঃ ছোটবেলায় মাম্পস, জিন গত সমস্যা, মূত্রনালীতে সমস্যা , প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যা, ডায়বেটিস,এলকোহল সেবন, ধূমপান, ওজন বেশি, চুল গজানোর ঔষধ সেবন ইত্যাদি কারণে হতে পারে।
বন্ধাত্বের চিকিৎসাঃ
বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার জন্য, দম্পতিকে প্রথমে একজন বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর সাথে দেখা করতে হবে। বন্ধ্যাত্ব ডাক্তার বন্ধ্যাত্বের কারণ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন এবং উপযুক্ত চিকিৎসার পরিকল্পনা তৈরি করবেন।
কেউ যদি একবছর তথা ১২ মাস টানা সন্তান ধারণের চেষ্টা করে গর্ভধারণের ব্যর্থ হোন তবে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ এর নিকটে যাবেন। সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে তখন পদক্ষেপ নিবেন। এবং এই সমস্যাটি জটিল হলেও অনেক ক্ষেত্রে বিষেশজ্ঞ ডাক্তারের নির্ধারিত ঔষধ এবং বিধি ব্যবস্থাপনায় তা নিরাময়যোগ্য। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
বন্ধ্যাত্ব সমস্যার সমাধানে রাজশাহী বিশেষজ্ঞ কিছু ডাক্তারের নাম এখানে উল্লেখ করা হলো-
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এফসিপিএস(অবস ও গাইনি)
স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বন্ধ্যাত্ব রোগে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
সহকারী অধ্যাপক
গাইনি বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
২. ডাঃ খন্দকার সেহেলী নাসরীন লীনা
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য),
এম এস(গাইনি এন্ড অবস)
প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
(গাইনিকোলজিক্যাল, ল্যাপারোস্কপি,ক্যান্সার সার্জারী ও ইনফার্টিলিটি)
সহকারী অধ্যাপক(গাইনি এন্ড অবস বিভাগ)
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী
বিশেষজ্ঞ স্ত্রীরোগ (Gynecology) প্রসূতি ও ধাত্রীবিদ্যা (Obstetrics)
গাইনিকোলজিক্যাল অনকোলজি ও সার্জারী (জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার)
গাইনিকোলজিক্যাল ল্যাপারোস্কপি বন্ধ্যাত্ব/ ইনফার্টিলিটি কলপোস্কপি
এমবিবিএস,
এফসিপএস(গাইনি এন্ড অবস)
অধ্যাপক (অব)
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ।
এম. বি. বি. এস, বি. সি. এস (স্বাস্থ্য),
এফ. সি. পি. এস (গাইনি এন্ড অবস)
প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ, বন্ধ্যাত্বরোগ এবং বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
ল্যাপারস্কপি ও হিস্টেরস্কপি উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
বন্ধ্যাত্বরোগে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (এক্স)
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
এমবিবিএস(ডিএমসি), এফসিপিএস(গাইনি এন্ড অবস)
স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ এবং ল্যাপারস্কপিক সার্জন
কনসালটেন্ট, পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, রাজশাহী।
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমসিপিএস(গাইনি), এফসিপিএস(গাইনি এন্ড অবস)
স্ত্রী ও প্রসূতিরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,রাজশাহী
এম.বি.বি.এস, ডি.জি.ও(গাইনি)
সহকারী অধ্যাপক, গাইনি বিভাগ
ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডিজিও,
এফসিপিএস(অবস ও গাইনি)
সহকারী অধ্যাপক
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রাজশাহী।
এমবিবিএস, এফসিপএস(গাইনি এন্ড অবস), ডিজিইউ, এমসিপিএস(গাইনি)
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
অধ্যাপক প্রাক্তন
গাইনি বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডিজিও(বিএসএমএমইউ), এফসিপএস(গাইনি এন্ড অবস)
প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ও
ল্যাপারোস্কপিক ও হিস্টেরোস্কপিক সার্জন
কসসালটেন্ট (গাইনি এন্ড অবস)
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,রাজশাহী।
এমবিবিএস, এফসিপিএস(গাইনি),
প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
সহকারী অধ্যাপক (গাইনি)
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ,রাজশাহী
চেম্বার ও সময়সুচিসহ বিস্তারিত দেখতে ডাক্তারের নামের উপর ক্লিক করুন
রাজশাহীর যেকোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তথ্য, সিরিয়াল ও আমাদের সেবা পেতে যোগাযোগ করুন।: 01317823580